Ads:

ঘুমানোর সময় মোবাইল যেভাবে রাখা উচিৎ

ঘুমানোর সময় মোবাইল যেভাবে রাখা উচিৎ

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুমানোর সময় অনেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ করেন না। অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বা পাশে রেখে দেন। আবার অনেকে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করেই ঘুমান। যারা এ কাজ করেন, তারা ঘুমানোর আগে বালিশের পাশে কিংবা বিছানার ওপর না রেখে কিছু দূরে কোনো কিছুর ওপরে ফোনটি রাখুন। কারণ মোবাইল ফোনের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে।

১. ফোন দূরে রাখুন:
রাতে ঘুমানোর সময় ফোনটি সঙ্গে না রেখে দূরে রাখুন। আপনার ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখুন। যেখানে চার্জার, হেডফোন বা অন্যান্য টুকিটাকি দরকারি জিনিসপত্র রাখেন, আপনার মোবাইল ফোনটিও সেখানেই রেখে দিতে পারেন।হাতের কাছে ফোন থাকলে তা বারবার ব্যবহার করার আগ্রহ বাড়বে। এতে মস্তিষ্ক কিছুতেই বিক্ষিপ্ত না হয়।

২. ফোন বালিশের নিচে রাখবেন না: বালিশের পাশে বা নিচে পড়ে থাকা ফোনটিতে কল এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। মোবাইল ফোন কখনোই বালিশের পাশে রেখে ঘুমাবেন না। ঘুমানোর সময় কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখলে ঘুম ভালো হয়।।

৩. ফেবসুক, মেইল বন্ধ রাখুন: ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ফোনের ফেসবুক, মেইল বন্ধ রাখতে হবে। অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান। আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে।

৪. গান শুনতে শুনতে ঘুম: অনেকেই মোবাইল ফোনে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন, যা মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আবার দেখা যায়, মোবাইল ফোনের সঙ্গে হেডফোন লাগিয়ে তা কানে দিয়ে ঘুমানোর আগে গান চালান অনেকেই। এটি আরও মারাত্মক ক্ষতিকর।

৫. ফোনের স্ক্রিনের আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি করে: রাতের অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনের আলো মানুষের চোখের রেটিনার পক্ষে ক্ষতিকারক। এ আলোই আমাদের মস্তিষ্ককে জানান দেয় ফোন অথবা ম্যাসেজ আসার প্রাথমিক খবর। এই আলো তন্দ্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে নিঃসরণ হতে বাধা দেয়। ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা


৬. ফোন ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করে: বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোন ও মস্তিষ্কের মধ্যে অল্প তফাৎ থাকলে তা ঘুমের পরিমাণ ও ঘুমের মান দুয়ের ওপরেই প্রভাব ফেলে। ফোন কাছে নিয়ে শুইলে তা আমাদের স্নায়ুকে উত্তেজিত রাখে। অবচেতনে আমরা পরের ফোন অথবা ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করে থাকি, যা আমাদের বেশিক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখতে দেয় না।

Post a Comment

0 Comments